শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
বাংলাদেশ এই মূহুর্তে এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মানুষের জানমাল ও ইজ্জত-সম্মানের কোন নিরাপত্তা নেই, নেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। ভোট দিয়ে পছন্দমত নেতা নির্বাচনের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পূর্বের দুটি নির্বাচনের মত যেনতেন একটা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় সরকার। একটি স্বাধীন দেশে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায়না। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারকে অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
আজ রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোর সংলগ্ন বক্স কালভার্ট রোডে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের সভাপতি মাওলানা শায়খ যিয়া উদ্দীন এসব কথা বলেছেন।
দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন: সরকারের আচরণে মনে হয় আমরা যেন এ দেশের ভাড়াটিয়া, আমাদের যেন কোন অধিকার নেই, অথচ আমাদের পূর্বপুরুষেরাই এই উপমহাদেশকে ইংরেজদের দখল থেকে উদ্ধার করেছেন।
সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন: সরকারকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে, আর সুযোগ দেওয়া যাবেনা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের গণদাবী উপেক্ষা করার অর্থই হচ্ছে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া।
জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন: মৎসকুলের জীবনের নিরাপত্তা যেমন শুধু পানির মধ্যে নিহিত, মানবকুলের শান্তি ও মুক্তি এবং তাদের সমুদয় অধিকারের নিরাপত্তাও তেমন আল্লাহর নেযাম ও হুকুম পালনের মধ্যে নিহিত। তিনি আরো বলেন: জনমতের তোয়াক্কা না করে আবারো একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা এ দেশের জনগণ মেনে নিবেনা। তিনি মুফতী মুনীর হোসাইন কাসেমীসহ কারাবন্দী আলেমদের দ্রুত মুক্তি দাবী করেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাছির উদ্দীন খানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, সাবেক সাংসদ এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জুর হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী যুগ্মমহাসচিব মুফতি মাসউদুল করীম,শায়খ আতাউর রহমান কোম্পানিগঞ্জী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা খলীলুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, মাওলানা জিয়াউল হক কাসেমী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসাইন রহমানী, মাওলানা শাহজালাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী,মুন্সিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী মহাসচিব সম্পাদক মাওলানা বশীর আহমদ, সুনাসগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী,সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল জলীল ইউসূফী, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা নুর মোহাম্মদ কাসেমী,সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি জাবের কাসেমী, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম আশরাফী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গফ্ফার ছয়ঘরী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি বশীরুল হাসান খাদিমানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম, মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা বদরুল ইসলাম, বি-বাড়িয়া জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী,হবিগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মুখলিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছিদ্দীকুর রহমান চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফুল ইসলাম,শায়খে বিশ্বনাথী রহ.এর সাহেবজাদা মাওলানা ফখরুল ইসলাম,শায়খে ইমামবাড়ীর সাহেবজাদা মাওলানা ইমদাদুল্লাহ,যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, নেত্রকোনা প্রতিনিধি মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, ময়মনসিংহের প্রতিনিধি মাওলানা খায়রুল ইসলাম মন্ডল, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি রেদওয়ান মাজহারী, সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদ প্রমুখ।